০১:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা মূখ খুলছেন সারজিস

  • প্রবাস বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
  • ৭২ ভিউ

কিছু মানুষ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে আমার সম্পৃক্ততা


নিয়ে কথা বলছেন ৷ সে বিষয়ে কিছু কথা…

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে ১ম বর্ষে থাকা অবস্থায় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলে উঠি ৷ ঢাবির ছেলেদের হলে উঠার একমাত্র উপায় হচ্ছে পলিটিক্যালি উঠা ৷ হলের সিটের ব্যাপারে প্রশাসনের তেমন কোনো হাত নেই ৷ আপনি যে আদর্শে বিশ্বাস করেন না কেন বর্তমানে ঢাবির হলে থাকতে হলে অন্তত ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষে আপনাকে ছাত্রলীগ করতে হবে ৷ ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম, গেস্টরুম করতে হবে ৷ এটা বাধ্যতামূলক ৷ নাহলে হলে থাকতে পারবেন না ৷

২০১৯ সালে ডাকসু ইলেকশনে আমি ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে হল সংসদে ইলেকশন করি ৷ ছাত্রলীগের প্যানেলের ১৩জনের মধ্যে ৭জন নির্বাচিত হয়েছিলো ৷ ৬জন স্বতন্ত্র থেকে ছিল ৷ স্টুডেন্টদের কাছে যাদের গ্রহনযোগ্যতা ছিল তারাই নির্বাচিত হয়েছিলো ৷ সদস্যদের মধ্যে আমি সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলাম ৷ ইভেন ভিপি জিএসের চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছিলাম৷ একুশে হল আর এফএইচ হলে যে সবচেয়ে সুন্দর ও স্বচ্ছ ভোট হয়েছিলো সেটা তখনকার কাউকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন ৷

ফেসবুকে ২টা ছবি দেখছি ৷ একটা ২০১৯ সালে হল ছাত্রলীগের কোনো প্রোগ্রামের ৷ হলের টিভি রুমে ডায়েসের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার ভঙ্গিতে তোলা ৷ তখনকার সময় অনুযায়ী জুনিয়র হিসেবে এসব শখ করে তোলা ৷ সবাই তোলে ৷ অন্য ছবিটি ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ম্যান অব দ্যা সিরিজ ট্রফি নেওয়ার সময় ৷ ঢাবি-পঞ্চগড় এসোসিয়েশন আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় সাদ্দাম ভাই অতিথি ছিল ৷ যেহেতু তার বাড়ি পঞ্চগড়ে এবং তখন তিনি ডাকসুর এজিএস ও ঢাবির সেক্রেটারি৷

২০২২ সালের এপ্রিলে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে সরে আসি ৷ অনেক কারন থাকলেও প্রধান ২টি কারন ছিল ৷

প্রথমত, তখন হল প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারির থেকে আমার মাধ্যমে জুনিয়দের জন্য যে নির্দেশ আসতো সেটা আমার কাছেই অযৌক্তিক, অন্যায় ও জুলুম মনে হতো ৷ যেটা আমার কাছেই অযৌক্তিক সেটা আমি কখনো আমার জুনিয়রদের উপর চাপিয়ে দিতে পারিনা ৷ সে জায়গা থেকে নিজের বিবেকবোধকে প্রায়োরিটি দিয়ে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে সরে যাই ৷

দ্বিতীয়ত, যারা ১বছর বা তার বেশি সময় ধরে আমার সাথে ফেসবুকে যুক্ত আছেন, তারা জানেন আমি বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার ও ছাত্রলীগ নিয়ে সরকারবিরোধীদের চেয়ে কঠোরভাবে যৌক্তিক সমালোচনা করার চেষ্টা করি ৷ আমার টাইমলাইন ঘাটলেই তা পাওয়া যাবে ৷ সে জায়গা থেকে হল ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি আমাকে অনেকবার রুমে এবং গেস্টরুমে ডেকে এসব লেখালেখির জন্য সতর্ক করে ৷ কিন্তু কাজ হয়নি ৷ সবশেষে হল ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার পূর্বে আমাকে একটি অপশন বেছে নিতে বলা হয় ৷ লেখালিখি করবো অথবা ছাত্রলীগ করবো ৷ আমি নির্দ্বিধায় আমার লেখালিখি কে বেছে নিই ৷ নিজের বিবেকের কাছে সত্য আর স্বচ্ছ থাকার চেয়ে আত্মিক প্রশান্তির কিছু হতে পারে না ৷ ফলে ছাত্রলীগের কোনো কমিটিতে আমার কোনো পোস্ট নেই ৷

আমার বাবা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ৷ আমার কাছে দলের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইথিকস, ব্যক্তিত্ব, আদর্শ ৷ সেদিক দিয়ে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমতাসীন দলগুলোর এতো সমালোচনা করার পরও বাবা আমাকে কখনো কিছু বলেনি ৷ আমাকে আমার বিবেকবোধ দিয়ে চিন্তা করার সুযোগ দিয়েছে ৷ ইভেন এই নির্বাচনে আমি বাড়িতে থাকার পরও যখন ভোট দিতে যাইনি তখনও কিছু বলেনি ৷ এটাই আমার রক্ত ৷

২০২৪ এর কোটা আন্দোলনে আমি যুক্ত হই ঢাবি সাইন্স লাইব্রেরীর প্রতিনিধি হিসেবে ৷ পরবর্তীতে যখন এটি ব্যাপক আকার ধারন করে তখন মনে হয়েছিলো এমন একটি জাতীয় আন্দোলনের অংশ হতে পারাও সৌভাগ্যের বিষয় ৷ দেশের ইতিহাস পরিবর্তনের এই আন্দোলনে অনেক চড়াই উতরাই পার হয়েছি, হচ্ছি ৷ সবকিছু ব্যাখ্যা করার সময় বা সুযোগ কোনোটিই এই মুহুর্তে নেই ৷

আন্দোলনে প্রথম ধাক্কা আমার উপরেই আসে ৷ সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করার কারনে ছাত্রলীগ হল থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় ৷ কিন্তু সেদিন আমার হল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইয়েরা সে বাঁধায় প্রাচীর হয়ে দাড়িয়ে যায় ৷ পরেও সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়ালের শিকারও আমি হই ৷ কারন যারা এসব করছে তারা চায় এভাবে একজন একজন করে প্রশ্নবিদ্ধ করে আমাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করার , আন্দোলনটাকে নষ্ট করে ফেলার ৷ তাছাড়া অনেকের অনেক অসৎ উদ্দেশ্য আছে ৷ যেগুলোতে আমাকে বাঁধা মনে করলে তারা এসব প্রোপাগান্ডা করে ৷কিন্তু মিথ্যা এতোটাও শক্তিশালী নয়৷

আমি জানি আমাদের সাথে পুরো দেশের মানুষ রয়েছেন ৷ নানা মতের, নানা দলের , বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শের ৷ সবার চাওয়া ব্যক্তি, দল বা আদর্শ অনুযায়ী ভিন্ন ৷ আমি জানি, সবার চাওয়া আমার দ্বারা পূরন করা সম্ভব না, সেই আশাও করিনা, সেই চেষ্টা করাও বৃথা ৷

কিন্তু আমি এটুকু নিশ্চিত জানি- আমার উদ্দেশ্য কি, আমার কি করা উচিৎ, আমার কোথায় গিয়ে থামতে হবে ৷ এখন পর্যন্ত যা করেছি তা এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখেই করেছি ৷ বিবেকের সাথে বিন্দুমাত্র আপোস করে নয় ৷ আমার সামনে আমার আন্দোলনের উদ্দেশ্য, আমার দেশ, আমার দেশের মানুষ ৷ শেষ ৷

আপনারা যারা কিছু না জেনে ২-৩টা ছবি দেখে মন মতো অনেক কিছু বলে ফেলছেন, আপনাদের সাথে ক্ষমতাসীন দলের অন্ধ ভক্তদের কোনো পার্থক্য নেই ৷ ক্ষমতায় আসলে আপনিও তাদের মতো হবেন তাতে সন্দেহ নেই ৷ বরং নিজের বিবেকবোধকে কাজে লাগান, দলান্ধ না হয়ে ব্যক্তিত্ব আর কাজ দিয়ে যাচাই করুন ৷

আমি মানুষ ৷ আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে, অভিজ্ঞতার সীমাবদ্ধতা আছে ৷ ভুলভ্রান্তি আছে ৷ কিন্তু আমি নিজেকে সংশোধন করতে, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে সবসময় প্রস্তুত ৷

হয়তো আর কয়েকদিন বেঁচে থাকবো কিন্তু বাঁচার মতো বাঁচবো ৷অন্যায়ের সাথে আপোস করে নয় ৷

আমাকে পথ দেখাবে আমার সত্য ৷
ইনশাআল্লাহ দেখা হবে বিজয়ে…

ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা মূখ খুলছেন সারজিস

আপডেট সময় : ০১:৫৫:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

কিছু মানুষ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে আমার সম্পৃক্ততা


নিয়ে কথা বলছেন ৷ সে বিষয়ে কিছু কথা…

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারীতে ১ম বর্ষে থাকা অবস্থায় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলে উঠি ৷ ঢাবির ছেলেদের হলে উঠার একমাত্র উপায় হচ্ছে পলিটিক্যালি উঠা ৷ হলের সিটের ব্যাপারে প্রশাসনের তেমন কোনো হাত নেই ৷ আপনি যে আদর্শে বিশ্বাস করেন না কেন বর্তমানে ঢাবির হলে থাকতে হলে অন্তত ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষে আপনাকে ছাত্রলীগ করতে হবে ৷ ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম, গেস্টরুম করতে হবে ৷ এটা বাধ্যতামূলক ৷ নাহলে হলে থাকতে পারবেন না ৷

২০১৯ সালে ডাকসু ইলেকশনে আমি ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে হল সংসদে ইলেকশন করি ৷ ছাত্রলীগের প্যানেলের ১৩জনের মধ্যে ৭জন নির্বাচিত হয়েছিলো ৷ ৬জন স্বতন্ত্র থেকে ছিল ৷ স্টুডেন্টদের কাছে যাদের গ্রহনযোগ্যতা ছিল তারাই নির্বাচিত হয়েছিলো ৷ সদস্যদের মধ্যে আমি সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছিলাম ৷ ইভেন ভিপি জিএসের চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছিলাম৷ একুশে হল আর এফএইচ হলে যে সবচেয়ে সুন্দর ও স্বচ্ছ ভোট হয়েছিলো সেটা তখনকার কাউকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন ৷

ফেসবুকে ২টা ছবি দেখছি ৷ একটা ২০১৯ সালে হল ছাত্রলীগের কোনো প্রোগ্রামের ৷ হলের টিভি রুমে ডায়েসের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার ভঙ্গিতে তোলা ৷ তখনকার সময় অনুযায়ী জুনিয়র হিসেবে এসব শখ করে তোলা ৷ সবাই তোলে ৷ অন্য ছবিটি ক্রিকেট টুর্ণামেন্টের ম্যান অব দ্যা সিরিজ ট্রফি নেওয়ার সময় ৷ ঢাবি-পঞ্চগড় এসোসিয়েশন আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় সাদ্দাম ভাই অতিথি ছিল ৷ যেহেতু তার বাড়ি পঞ্চগড়ে এবং তখন তিনি ডাকসুর এজিএস ও ঢাবির সেক্রেটারি৷

২০২২ সালের এপ্রিলে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে সরে আসি ৷ অনেক কারন থাকলেও প্রধান ২টি কারন ছিল ৷

প্রথমত, তখন হল প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারির থেকে আমার মাধ্যমে জুনিয়দের জন্য যে নির্দেশ আসতো সেটা আমার কাছেই অযৌক্তিক, অন্যায় ও জুলুম মনে হতো ৷ যেটা আমার কাছেই অযৌক্তিক সেটা আমি কখনো আমার জুনিয়রদের উপর চাপিয়ে দিতে পারিনা ৷ সে জায়গা থেকে নিজের বিবেকবোধকে প্রায়োরিটি দিয়ে আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে সরে যাই ৷

দ্বিতীয়ত, যারা ১বছর বা তার বেশি সময় ধরে আমার সাথে ফেসবুকে যুক্ত আছেন, তারা জানেন আমি বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার ও ছাত্রলীগ নিয়ে সরকারবিরোধীদের চেয়ে কঠোরভাবে যৌক্তিক সমালোচনা করার চেষ্টা করি ৷ আমার টাইমলাইন ঘাটলেই তা পাওয়া যাবে ৷ সে জায়গা থেকে হল ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারি আমাকে অনেকবার রুমে এবং গেস্টরুমে ডেকে এসব লেখালেখির জন্য সতর্ক করে ৷ কিন্তু কাজ হয়নি ৷ সবশেষে হল ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার পূর্বে আমাকে একটি অপশন বেছে নিতে বলা হয় ৷ লেখালিখি করবো অথবা ছাত্রলীগ করবো ৷ আমি নির্দ্বিধায় আমার লেখালিখি কে বেছে নিই ৷ নিজের বিবেকের কাছে সত্য আর স্বচ্ছ থাকার চেয়ে আত্মিক প্রশান্তির কিছু হতে পারে না ৷ ফলে ছাত্রলীগের কোনো কমিটিতে আমার কোনো পোস্ট নেই ৷

আমার বাবা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ৷ আমার কাছে দলের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইথিকস, ব্যক্তিত্ব, আদর্শ ৷ সেদিক দিয়ে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমতাসীন দলগুলোর এতো সমালোচনা করার পরও বাবা আমাকে কখনো কিছু বলেনি ৷ আমাকে আমার বিবেকবোধ দিয়ে চিন্তা করার সুযোগ দিয়েছে ৷ ইভেন এই নির্বাচনে আমি বাড়িতে থাকার পরও যখন ভোট দিতে যাইনি তখনও কিছু বলেনি ৷ এটাই আমার রক্ত ৷

২০২৪ এর কোটা আন্দোলনে আমি যুক্ত হই ঢাবি সাইন্স লাইব্রেরীর প্রতিনিধি হিসেবে ৷ পরবর্তীতে যখন এটি ব্যাপক আকার ধারন করে তখন মনে হয়েছিলো এমন একটি জাতীয় আন্দোলনের অংশ হতে পারাও সৌভাগ্যের বিষয় ৷ দেশের ইতিহাস পরিবর্তনের এই আন্দোলনে অনেক চড়াই উতরাই পার হয়েছি, হচ্ছি ৷ সবকিছু ব্যাখ্যা করার সময় বা সুযোগ কোনোটিই এই মুহুর্তে নেই ৷

আন্দোলনে প্রথম ধাক্কা আমার উপরেই আসে ৷ সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করার কারনে ছাত্রলীগ হল থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় ৷ কিন্তু সেদিন আমার হল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইয়েরা সে বাঁধায় প্রাচীর হয়ে দাড়িয়ে যায় ৷ পরেও সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়ালের শিকারও আমি হই ৷ কারন যারা এসব করছে তারা চায় এভাবে একজন একজন করে প্রশ্নবিদ্ধ করে আমাদের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করার , আন্দোলনটাকে নষ্ট করে ফেলার ৷ তাছাড়া অনেকের অনেক অসৎ উদ্দেশ্য আছে ৷ যেগুলোতে আমাকে বাঁধা মনে করলে তারা এসব প্রোপাগান্ডা করে ৷কিন্তু মিথ্যা এতোটাও শক্তিশালী নয়৷

আমি জানি আমাদের সাথে পুরো দেশের মানুষ রয়েছেন ৷ নানা মতের, নানা দলের , বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শের ৷ সবার চাওয়া ব্যক্তি, দল বা আদর্শ অনুযায়ী ভিন্ন ৷ আমি জানি, সবার চাওয়া আমার দ্বারা পূরন করা সম্ভব না, সেই আশাও করিনা, সেই চেষ্টা করাও বৃথা ৷

কিন্তু আমি এটুকু নিশ্চিত জানি- আমার উদ্দেশ্য কি, আমার কি করা উচিৎ, আমার কোথায় গিয়ে থামতে হবে ৷ এখন পর্যন্ত যা করেছি তা এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখেই করেছি ৷ বিবেকের সাথে বিন্দুমাত্র আপোস করে নয় ৷ আমার সামনে আমার আন্দোলনের উদ্দেশ্য, আমার দেশ, আমার দেশের মানুষ ৷ শেষ ৷

আপনারা যারা কিছু না জেনে ২-৩টা ছবি দেখে মন মতো অনেক কিছু বলে ফেলছেন, আপনাদের সাথে ক্ষমতাসীন দলের অন্ধ ভক্তদের কোনো পার্থক্য নেই ৷ ক্ষমতায় আসলে আপনিও তাদের মতো হবেন তাতে সন্দেহ নেই ৷ বরং নিজের বিবেকবোধকে কাজে লাগান, দলান্ধ না হয়ে ব্যক্তিত্ব আর কাজ দিয়ে যাচাই করুন ৷

আমি মানুষ ৷ আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে, অভিজ্ঞতার সীমাবদ্ধতা আছে ৷ ভুলভ্রান্তি আছে ৷ কিন্তু আমি নিজেকে সংশোধন করতে, ভুল থেকে শিক্ষা নিতে সবসময় প্রস্তুত ৷

হয়তো আর কয়েকদিন বেঁচে থাকবো কিন্তু বাঁচার মতো বাঁচবো ৷অন্যায়ের সাথে আপোস করে নয় ৷

আমাকে পথ দেখাবে আমার সত্য ৷
ইনশাআল্লাহ দেখা হবে বিজয়ে…