০২:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

প্রতিবিপ্লব নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন

  • প্রবাস বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:২৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪
  • ৭১ ভিউ

প্রবাস বাংলা ডেস্ক: পুলিশ, কাজে যোগদান করে নি। এটা বিপজ্জনক এবং ভয়ংকর। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে যোগদান না করলে তাদের পলাতক ঘোষণা করা উচিত ছিল। এর দ্বারা পরবর্তী সহিংস ও সশস্ত্র প্রতিবিপ্লবের সম্ভাবনা জীবিত রাখা হোল।

বাংলাদেশে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রাখা রয়েছে। পুলিশ, ছাত্র লীগ, ও আওয়ামী ক্যাডাররা সংঘবদ্ধ হচ্ছে। সীমান্তের ওপার থেকে আরও ভারি অস্ত্রশস্ত্র আনছে। মনে রাখুন, সীমান্ত কার্যত খোলা। সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘোষণায় বোঝা যায় তারা বিএনপির সাথে সমঝোতাতে রাজি। অর্থাৎ বিএনপি এই অবৈধ সরকারের অধীনে অল্প সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হোক সেই দাবি জারি রাখুক, এটা সজীব ওয়াজেদ জয়ও চায় । কারণ এই দুলের যে কোন একটি দলই তো আবার সরকার গঠন করবে। আশা করি বিএনপি এই ফাঁদে পা দেবে না।

আমি বারবার বলেছি এবং বলছি যে ড. ইউনুসকে অবিলম্বে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করুন, গণ অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক এবং আইনি শক্তিবলে জনগণের পক্ষে সকল ক্ষমতা তাঁর হাতে অবিলম্বে হস্তান্তর করুন এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত ফ্যাসিস্ট ও চাটুকার ‘প্রেসিডেন্ট’ মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন (চুপ্পু)-র কাছ থেকে ক্ষমতা জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার প্রতিনিধি ড. ইউনুসের হাতে নিয়ে আসুন। কিন্তু আপনারা প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়কে কতো সহজে সংবিধান ও আইনের নামে নস্যাৎ করে দিলেন।

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধান ও আইনের অধীনে শপথ নিলেও অন্তর্বর্তী সরকার ‘বৈধ’ সরকার নয়। শেখ হাসিনার সংবিধানে ‘অন্তর্বর্তী সরকার’-এর কোন বিধান নাই।

এই ‘অবৈধ’ অন্তর্বর্তী সরকারকে শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে গঠিত আদালত দিয়ে এখন ‘বৈধ’ বলে সিদ্ধান্ত দিলেও অন্তর্বর্তী সরকার ‘অবৈধ’। কারণ ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে গঠিত আদালতও গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ‘অবৈধ’।

দিল্লী প্রথমে শেখ হাসিনাকে রাখতে চায় নি। কারণ আন্তর্জাতিক আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য বিচারের মামলা গৃহীত হলে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে বিচারের জন্য হেগে (Hague, The Netherlands) পাঠাতে হবে। সেটা হবে ভারতের কূটনীতির জন্য বিড়ম্বনা এবং লজ্জা।

কিন্তু এখন দেখছি তাকে দিল্লীতে রাখা হচ্ছে এবং একের পর এক পাল্টা প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা চলছে। এই অবস্থা বহাল থাকলে একের পর এক প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা চলতেই থাকবে। সেই জন্য পুলিশ এই অগাস্টে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী ক্যাডারদের দিয়ে প্রতিবিপ্লবের নির্দেশের অপেক্ষা করছে।

আমরা আগুনের ওপর বসে আছি।

প্রতিবিপ্লব নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন

আপডেট সময় : ০১:২৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৪

প্রবাস বাংলা ডেস্ক: পুলিশ, কাজে যোগদান করে নি। এটা বিপজ্জনক এবং ভয়ংকর। চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে যোগদান না করলে তাদের পলাতক ঘোষণা করা উচিত ছিল। এর দ্বারা পরবর্তী সহিংস ও সশস্ত্র প্রতিবিপ্লবের সম্ভাবনা জীবিত রাখা হোল।

বাংলাদেশে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র লুকিয়ে রাখা রয়েছে। পুলিশ, ছাত্র লীগ, ও আওয়ামী ক্যাডাররা সংঘবদ্ধ হচ্ছে। সীমান্তের ওপার থেকে আরও ভারি অস্ত্রশস্ত্র আনছে। মনে রাখুন, সীমান্ত কার্যত খোলা। সজীব ওয়াজেদ জয়ের ঘোষণায় বোঝা যায় তারা বিএনপির সাথে সমঝোতাতে রাজি। অর্থাৎ বিএনপি এই অবৈধ সরকারের অধীনে অল্প সময়ের মধ্যে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হোক সেই দাবি জারি রাখুক, এটা সজীব ওয়াজেদ জয়ও চায় । কারণ এই দুলের যে কোন একটি দলই তো আবার সরকার গঠন করবে। আশা করি বিএনপি এই ফাঁদে পা দেবে না।

আমি বারবার বলেছি এবং বলছি যে ড. ইউনুসকে অবিলম্বে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করুন, গণ অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক এবং আইনি শক্তিবলে জনগণের পক্ষে সকল ক্ষমতা তাঁর হাতে অবিলম্বে হস্তান্তর করুন এবং শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত ফ্যাসিস্ট ও চাটুকার ‘প্রেসিডেন্ট’ মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন (চুপ্পু)-র কাছ থেকে ক্ষমতা জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার প্রতিনিধি ড. ইউনুসের হাতে নিয়ে আসুন। কিন্তু আপনারা প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়কে কতো সহজে সংবিধান ও আইনের নামে নস্যাৎ করে দিলেন।

শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধান ও আইনের অধীনে শপথ নিলেও অন্তর্বর্তী সরকার ‘বৈধ’ সরকার নয়। শেখ হাসিনার সংবিধানে ‘অন্তর্বর্তী সরকার’-এর কোন বিধান নাই।

এই ‘অবৈধ’ অন্তর্বর্তী সরকারকে শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে গঠিত আদালত দিয়ে এখন ‘বৈধ’ বলে সিদ্ধান্ত দিলেও অন্তর্বর্তী সরকার ‘অবৈধ’। কারণ ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফ্যাসিস্ট সংবিধানের অধীনে গঠিত আদালতও গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ‘অবৈধ’।

দিল্লী প্রথমে শেখ হাসিনাকে রাখতে চায় নি। কারণ আন্তর্জাতিক আদালতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য বিচারের মামলা গৃহীত হলে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে বিচারের জন্য হেগে (Hague, The Netherlands) পাঠাতে হবে। সেটা হবে ভারতের কূটনীতির জন্য বিড়ম্বনা এবং লজ্জা।

কিন্তু এখন দেখছি তাকে দিল্লীতে রাখা হচ্ছে এবং একের পর এক পাল্টা প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা চলছে। এই অবস্থা বহাল থাকলে একের পর এক প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা চলতেই থাকবে। সেই জন্য পুলিশ এই অগাস্টে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী ক্যাডারদের দিয়ে প্রতিবিপ্লবের নির্দেশের অপেক্ষা করছে।

আমরা আগুনের ওপর বসে আছি।