০৯:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

ওমান লোকসান গুনছেন সালালাহ অঞ্চলের ট্রাভেল ব্যাবসায়ীরা

  • প্রবাস বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:১০:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ৭৫ ভিউ

সায়েদ সাকিব, ওমান সালালাহ: ওমানের পর্যটন নগরী সালালাহ তে ট্রাভেল ব্যাবসায়ে ধস নেমেছে। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশীদের জন্য ওমানে নতুন ভিসা কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। যার ফলস্বরূপ ওমানে বাংলাদেশীদের যাতায়াত কমেছে। যেহেতু সালালাহ শহরে বেশিরভাগ ট্রাভেল ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশীর দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে এই কারণে বাংলাদেশ রুটের টিকেট বিক্রি ব্যাহত হচ্ছে।
কনক ট্রাভেলস এর কর্ণধার জনাব কনক ভৌমিক বলেন” আগের মত বাংলাদেশের রুটগুলোর যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি গ্রুপ টিকেটে সিট বুকিং করো বড় অংকের ধাক্কা খেতে হচ্ছে ট্রাভেল এজেন্ট দের। ইতিমধ্যে অনেকেই ব্যাবসায় গুটিয়ে নিয়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন। যদিও অন্যান্য দেশের যাত্রী যাতায়াত রয়েছে তবে যাত্রী সংকটের কারণে এয়ারলাইন্স গুলো তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে টিকেট মূল্য বৃদ্ধি করে রেখেছেন। যার প্রভাব পড়ছে ট্রাভেল এজেন্সীদের উপরে। টিকেটের উচ্চ মূল্যের কারণে যাত্রীরা ভ্রমণ হতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে ছোটখাটো ট্রাভেল এজেন্সী গুলো নিজেদের ব্যাবসায় গুটিয়ে নিতে বাধ্য হবেন”
নূর ট্রাভেলস এর ম্যানেজার জনাব আলী হুসেইন জানিয়েছেন “পূর্বে বাংলাদেশ রুটে যাত্রীদের চলাচলের কারণে ট্রাভেল ব্যাবসায় লাভজনক ছিলো। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশীদের জন্য নতুন ভিসা ইস্যু না হওয়ায় বাংলাদেশ রুটের যাত্রী সংকটের ফলে এই ব্যাবসায়ে বর্তমানে লোকসান গুনতে হচ্ছে”

আরেক ট্রাভেল মানহা গ্লোবাল ট্রাভেলস স্বত্তাধীকারি জনাব মো: উদার হোসেন বলেন বাংলাদেশের ভিসা চালু না থাকায় তিনি একাই ইতিমধ্যে বাংলাদেশী টাকায় কয়েক লক্ষ টাকা লোকশান গুনেছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যাতে অতি ধ্রুত সময়ের মধ্যেই ভিসা জটিলতার বিষয়টি নিয়ে ওমান সরকারের সাথে সুরহা করতে। যদি যাত্রী চলাচল বৃদ্ধি হয় তাহলে যাত্রীরা ও সুলভ মূল্যে এবং সর্বোচ্চ সেবা পাবে তাছাড়াও ট্রাভেল ব্যাবসায় ও পূর্বের ন্যায় চাঙা হয়ে উঠবে। ফলে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স আয় করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন।

দুবাই কনসাল জেনারেল কে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে

ওমান লোকসান গুনছেন সালালাহ অঞ্চলের ট্রাভেল ব্যাবসায়ীরা

আপডেট সময় : ০১:১০:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সায়েদ সাকিব, ওমান সালালাহ: ওমানের পর্যটন নগরী সালালাহ তে ট্রাভেল ব্যাবসায়ে ধস নেমেছে। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশীদের জন্য ওমানে নতুন ভিসা কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। যার ফলস্বরূপ ওমানে বাংলাদেশীদের যাতায়াত কমেছে। যেহেতু সালালাহ শহরে বেশিরভাগ ট্রাভেল ব্যাবসায় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশীর দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে এই কারণে বাংলাদেশ রুটের টিকেট বিক্রি ব্যাহত হচ্ছে।
কনক ট্রাভেলস এর কর্ণধার জনাব কনক ভৌমিক বলেন” আগের মত বাংলাদেশের রুটগুলোর যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি গ্রুপ টিকেটে সিট বুকিং করো বড় অংকের ধাক্কা খেতে হচ্ছে ট্রাভেল এজেন্ট দের। ইতিমধ্যে অনেকেই ব্যাবসায় গুটিয়ে নিয়ে অন্য পেশায় নিয়োজিত হয়েছেন। যদিও অন্যান্য দেশের যাত্রী যাতায়াত রয়েছে তবে যাত্রী সংকটের কারণে এয়ারলাইন্স গুলো তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে টিকেট মূল্য বৃদ্ধি করে রেখেছেন। যার প্রভাব পড়ছে ট্রাভেল এজেন্সীদের উপরে। টিকেটের উচ্চ মূল্যের কারণে যাত্রীরা ভ্রমণ হতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে ছোটখাটো ট্রাভেল এজেন্সী গুলো নিজেদের ব্যাবসায় গুটিয়ে নিতে বাধ্য হবেন”
নূর ট্রাভেলস এর ম্যানেজার জনাব আলী হুসেইন জানিয়েছেন “পূর্বে বাংলাদেশ রুটে যাত্রীদের চলাচলের কারণে ট্রাভেল ব্যাবসায় লাভজনক ছিলো। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশীদের জন্য নতুন ভিসা ইস্যু না হওয়ায় বাংলাদেশ রুটের যাত্রী সংকটের ফলে এই ব্যাবসায়ে বর্তমানে লোকসান গুনতে হচ্ছে”

আরেক ট্রাভেল মানহা গ্লোবাল ট্রাভেলস স্বত্তাধীকারি জনাব মো: উদার হোসেন বলেন বাংলাদেশের ভিসা চালু না থাকায় তিনি একাই ইতিমধ্যে বাংলাদেশী টাকায় কয়েক লক্ষ টাকা লোকশান গুনেছেন। তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যাতে অতি ধ্রুত সময়ের মধ্যেই ভিসা জটিলতার বিষয়টি নিয়ে ওমান সরকারের সাথে সুরহা করতে। যদি যাত্রী চলাচল বৃদ্ধি হয় তাহলে যাত্রীরা ও সুলভ মূল্যে এবং সর্বোচ্চ সেবা পাবে তাছাড়াও ট্রাভেল ব্যাবসায় ও পূর্বের ন্যায় চাঙা হয়ে উঠবে। ফলে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স আয় করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবেন।