আরব আমিরাত প্রতিনিধি:
প্রত্যেক দেশেরই একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন থাকে যা তাদের খাদ্য ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে তা নিঃসন্দেহে পিঠা।বাঙালির জন্য পিঠা শুধু একটি খাবারই নয়, স্মৃতির ভাণ্ডারও বটে।
তেমনিভাবে প্রবাসে দেশীয় সংস্কৃতি এবং নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার চিরন্তন ঐতিহ্য তুলে ধরতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করে আমিরাত সংবাদ পাঠক ফোরাম। রবিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আমিরাতের সারজায় বাংলাদেশ সমিতির হলরুমে এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
শারজায় বর্ণাঢ্য আয়োজন আর উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় পিঠা উৎসব। বিকাল থেকে পিঠা উৎসবে নারী-পুরুষ ও শিশুদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
নানা পদের বিভিন্ন রঙের গরম ও শীতের রসালো পিঠাই ভরে ওঠে প্রতিটি টেবিল। বিভিন্ন রকমের নকশি পিঠা দিয়েও সাজানো হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জনপ্রিয় পিঠা স্থান পায় এই উৎসবে। ছিল দুধ চিতই, রস মঞ্জুরি পিঠা, ঝাল পাটিসাপটা পিঠা, খলা ঝালি পিঠা, নারকেল নাড়ু, পাটিসাপটা, বাশবোশা পিঠা, ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, ডিম পোয়া পিঠা, পুলি পিঠা, নারকেল পিঠা, নোনাস পিঠাসহ বিভিন্ন বাহারী নামের ও রকমের পিঠা পরিবেশন করা হয়।
পিঠা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কনস্যুলেট দুবাই ও উত্তর আমিরাতের লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন।
উৎসব শেষে র্যাফেল ড্র এবং প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউএই এর সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান জনি, বাংলাদেশ সমিতি দুবাই সভাপতি অধ্যাপক আবদুস সবুর, আমিরাত সংবাদ পাঠক ফোরামের উপদেষ্টা কামাল হোসেন সুমন, আমিরাত সংবাদ পোর্টালের সম্পাদক ইসমাইল, প্রেসক্লাব ইউএই যুগ্ম সম্পাদক মোদাচ্ছের শাহ, সদস্য জাসেদুল ইসলাম প্রমুখ।
বিদেশের মাটিতে দেশীয় পিঠা উৎসবের আমেজ তৈরি করতে পেরে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন আয়োজকরা।
পিঠা উৎসবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারায় অনেক প্রতিযোগিকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। বাংলাদেশি প্রবাসী পিঠা উৎসবকে কেন্দ্র করে সবার কাছে একটি দিন হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশময়।