০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

যথাযথ মর্যাদায় ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন

  • প্রবাস বাংলা
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৯৮ ভিউ

প্রবাস বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ দূতাবাস বাহরাইনে আজ যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হয়েছে। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকৃত বাহরাইনের ৩০ টি স্কুলের ৯০ টি চিত্রকর্ম দিয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গনে অত্যন্ত সুন্দর এক চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ দূতাবাস দিবসটি পালনে এক ব্যতিক্রমী মাত্রা যোগ করে। এ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণের ফলে তারা বাঙ্গালির রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে এবং এ চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের মহিমা ও তাৎপর্য সকলের কাছে আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠে। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স কায়েস চিত্র প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন।

এরপর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এবং উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়।

চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস তাঁর বক্তব্যের শুরুতে ভাষা আন্দোলনে এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন ছিলো আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তা, স্বকীয়তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষারও আন্দোলন’। তিনি আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনের মহিমা ও তাৎপর্য আজ শুধু আমাদের দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তা আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং সারা বিশ্বে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। তিনি নতুন প্রজন্মের মাঝে একুশের সুদূরপ্রসারী চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনুরোধ করেন। তিনি নতুন প্রজন্মকে আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি বাংলা ভাষা শেখার প্রতি উৎসাহিত করেন। এছাড়া, তিনি প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদেরকে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স ও দল-মতের বিবেদ ভূলে একযোগে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘র্স্মাট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বাহরাইনস্থ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (BSMR)-বাংলাদেশ স্কুল’-এর ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে তারা কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উপহার বিতরণ করেন।

পরিশেষে, ভাষা শহিদদের পাশাপাশি বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারীগণ ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা এসকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

দুবাই কনসাল জেনারেল কে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে

যথাযথ মর্যাদায় ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন

আপডেট সময় : ০১:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রবাস বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশ দূতাবাস বাহরাইনে আজ যথাযথ মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ‘মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হয়েছে। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দূতাবাস প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের উপর আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকৃত বাহরাইনের ৩০ টি স্কুলের ৯০ টি চিত্রকর্ম দিয়ে দূতাবাস প্রাঙ্গনে অত্যন্ত সুন্দর এক চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশ দূতাবাস দিবসটি পালনে এক ব্যতিক্রমী মাত্রা যোগ করে। এ চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণের ফলে তারা বাঙ্গালির রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারে এবং এ চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনের মহিমা ও তাৎপর্য সকলের কাছে আরো বেশি স্পষ্ট হয়ে উঠে। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স কায়েস চিত্র প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করেন।

এরপর, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, এবং উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়।

চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স এ. কে. এম. মহিউদ্দিন কায়েস তাঁর বক্তব্যের শুরুতে ভাষা আন্দোলনে এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলন ছিলো আমাদের মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তা, স্বকীয়তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষারও আন্দোলন’। তিনি আরো বলেন, ভাষা আন্দোলনের মহিমা ও তাৎপর্য আজ শুধু আমাদের দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তা আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং সারা বিশ্বে প্রতি বছর ২১শে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। তিনি নতুন প্রজন্মের মাঝে একুশের সুদূরপ্রসারী চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনুরোধ করেন। তিনি নতুন প্রজন্মকে আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি বাংলা ভাষা শেখার প্রতি উৎসাহিত করেন। এছাড়া, তিনি প্রবাসে বসবাসরত বাংলাদেশিদেরকে অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স ও দল-মতের বিবেদ ভূলে একযোগে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ‘র্স্মাট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কাজ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।

দিবসটি উপলক্ষ্যে বাহরাইনস্থ ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (BSMR)-বাংলাদেশ স্কুল’-এর ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে তারা কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন। চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে উপহার বিতরণ করেন।

পরিশেষে, ভাষা শহিদদের পাশাপাশি বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সকল পর্যায়ে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বাহরাইনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, কর্মচারীগণ ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা এসকল অনুষ্ঠানে যোগ দেন।