১১:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

বন্ধ হচ্ছে ওমানের সর্ববৃহৎ কেন্দ্রীয় সবজি মার্কেট

  • প্রবাস বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৩:৫০:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪
  • ২০০ ভিউ

প্রবাস বাংলা অনলাইন ডেস্ক: ওমানের সর্ববৃহৎ সবজি মার্কেট যাকে কেন্দ্রীয় সবজি মার্কেট বলা হতো তার স্থান পরিবর্তন করা হচ্ছে।

ওমানের রাজধানী মাস্কাট আল মাওলাহ-তে ওমানের সবচেয়ে বড় কেন্দ্রীয় সবজি ও ফলের বাজার ছিলো এটি।

তবে এই বাজারটি আগামীকাল ২৯ জুন থেকে স্থান পরিবর্তন করে, আল বাতেনা অঞ্চল বারকা খাজায়েন ইকোনমিক সিটিতে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

এই নিয়ে চলতি বছরের মে মাসে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যা বর্তমান মার্কেট মাওয়ালাহ’র সকল ফল ও সবজির পাইকারি ব্যবসায়িদের মাঝে পাঠানো হয়।
এবং সকল প্রকার পাইকারি বিক্রয় ২৯ জুন থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

এর আগে, ৫ মে থেকে ৯ জুনের মধ্যে, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, সাজানোর গুদাম, শুকনো দোকান এবং বাণিজ্যিক দোকান, পাইকারি বাজারের গুছারি স্টোর, কেন্দ্রীয় গুছারি স্টোরেজ, পেঁয়াজের শেড, আলুর শেড এবং প্রশাসনিক অফিসগুলির ইউনিট হস্তান্তর করার কথা জানানো হয়েছে। দোকান মালিকদের।

তবে এইসব দোকানের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ২২শে জুন থেকে। ওমানের রাজধানী মাস্কাট আল মাওয়ালেহ মার্কেট থেকে বারকা অঞ্চলে গড়ে উঠা খাজায়েন ইকোনমিক সিটির সিলাল মার্কেটে।

এদিকে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষস্থানীয় ট্রেডিং কোম্পানিগুলির একজন নির্বাহী বলেছেন- শুক্রবার রাজধানীর আল মাওলাহ সবজি বাজারে ব্যবসায়িদের বিক্রিয়ের শেষ দিন হবে। ইতিমধ্যেই উক্ত বাজারের ব্যবসায়ী কর্তৃপক্ষ মাঝে সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

আগামী শনিবার এর মধ্যে আল মাওয়েলাহ-এর অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি ব্যবসায়ীদের সকল প্রকার কার্যক্রম পুরোপুরি খাজায়েনে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুছারি স্টোরের ইজারাদাতারা (পাইকারি বাজার বিল্ডিং/কেন্দ্রীয় কোল্ড স্টোরেজ) প্রথম চুক্তি বছরের জন্য ভাড়া মূল্যে অতিরিক্ত হ্রাস পাবে, ভাড়া থেকে বর্ধিত ছাড়ের মেয়াদ সহ, যদি চুক্তিটি ২০মে এর আগে স্বাক্ষরিত হয়।

এ বাজারে বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা ১৯৯৭ সাল থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসা বাংলাদেশী নুরুল আবছার বাবলু বলেন- এখানে ৭০% ব্যবসায়ী বাংলাদেশী, ৩০% ব্যবসায়ী অন্যান্য দেশের।
এটি ওমানের প্রাণকেন্দ্র মাস্কাট-এ হওয়াতে, আমাদের জন্য এটি ব্যবসার একটি সুবিধাজনক স্থান ছিলো, এখন আমরা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবো।

মোঃ আজম তালুকদার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছি এই বাজারে, এটি ওমানের রাজধানী মাস্কাট-এ হওয়াতে ব্যবসার জন্য একটি উপযুক্ত স্থান ছিলো।
এখন স্থান পরিবর্তনে আমরা অনেক ক্ষতির সম্মূখীন হবো।

তবে, এখনো পর্যন্ত খুচরা ব্যাবসায়ীদের জন্য কিছু বলা হয়নি।

সেন্ট্রাল মার্কেটের ম্যানেজার হামেদ সাইদ সালেম আল হাজারি এর আগে- স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন “বর্তমান সর্বজি বাজারের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের কাছে লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান, ইরান, মিশর থেকে পণ্য আমদানি রদপানি হচ্ছে। যার কারণে জায়গার পরিধি বৃদ্ধি অতি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

নতুনভাবে গড়ে উঠা খাজায়েন ইকোনমিক সিটি বিশাল এলাকা নিয়ে গড়া হয়েছে। এতে ব্যবসার বাণিজ্যের পরিধি আরো বৃদ্ধি করা সহজ হবে স্থানান্তরিত। ব্যবসায়ীরা নিজের ব্যবসাও আরো প্রসারিত করতে পারবে।

বাজারের একজন নেতৃস্থানীয় পাইকারী বিক্রেতা, বলেন, “বাজারটি ১৯৮৭ সালে খোলা হয়েছিল কিন্তু ১৯৯৭ সালে পুনরায় খোলার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় এবং ২০০০ সালে আবারো পূনরায় চালু করা হয়। প্রাথমে ৯০ শতাংশ পণ্যগুলি প্রতিবেশী দেশগুলির মাধ্যমে আমদানি করা হত, কিন্তু বর্তমানে আমাদের পণ্যগুলির ৯০ শতাংশ সরাসরি বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়, প্রায় ৪০০ রপ্তানি-আমদানিকারক এই মাওয়াহলা বাজারে ব্যবসা করেন।

আরো জানা যায়, হস্তান্তরিত নতুন বাজারে গুজারি দোকান, প্রধান পাইকারি দোকাস, খোলা মাঠ ট্রাক বিক্রয় এলাকা, পেঁয়াজ ও আলু বাছাই ও বিক্রির জন্য ছায়াযুক্ত এলাকা রয়েছে, কৃষি পরিদর্শন এলাকা, অপারেটিং কোম্পানির অফিস, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার থাকবে। চার্জিং স্টেশন, সবজি এবং ফল বাছায়ের আলাদা স্থান, শাক-সবজি এবং ফলের জন্য বেশ কিছু কয়েকটি গেট রয়েছে।

কৃষি মৎস্য ও জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কৃষি নমুনা পরীক্ষার জন্য একটি পরীক্ষাগারও রয়েছে।

এদিকে নতুন বাজারের কিছু নিয়মকানুন ও ভালো সুযোগ-সুবিধা থাকায়, নতুন এই স্থানান্তরিত জায়গায়কে স্বাগত জানিয়েছেন, তবে অনেই মনে করছে রাজধানীই ব্যবসার জন্য উপযুক্ত স্থান ছিলো।

ইতিপূর্বে রাজধানীর মানুষ অল্প শাকসবজি এবং ফল কেনার জন্য রুই থেকে মাওয়াহলা আসলে, বারকা অঞ্চল খাজায়েন মার্কেট পর্যন্ত যাওয়া দূরের যাতায়াত বলে মরে করেন।

বন্ধ হচ্ছে ওমানের সর্ববৃহৎ কেন্দ্রীয় সবজি মার্কেট

আপডেট সময় : ০৩:৫০:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

প্রবাস বাংলা অনলাইন ডেস্ক: ওমানের সর্ববৃহৎ সবজি মার্কেট যাকে কেন্দ্রীয় সবজি মার্কেট বলা হতো তার স্থান পরিবর্তন করা হচ্ছে।

ওমানের রাজধানী মাস্কাট আল মাওলাহ-তে ওমানের সবচেয়ে বড় কেন্দ্রীয় সবজি ও ফলের বাজার ছিলো এটি।

তবে এই বাজারটি আগামীকাল ২৯ জুন থেকে স্থান পরিবর্তন করে, আল বাতেনা অঞ্চল বারকা খাজায়েন ইকোনমিক সিটিতে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

এই নিয়ে চলতি বছরের মে মাসে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে, যা বর্তমান মার্কেট মাওয়ালাহ’র সকল ফল ও সবজির পাইকারি ব্যবসায়িদের মাঝে পাঠানো হয়।
এবং সকল প্রকার পাইকারি বিক্রয় ২৯ জুন থেকে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

এর আগে, ৫ মে থেকে ৯ জুনের মধ্যে, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে, সাজানোর গুদাম, শুকনো দোকান এবং বাণিজ্যিক দোকান, পাইকারি বাজারের গুছারি স্টোর, কেন্দ্রীয় গুছারি স্টোরেজ, পেঁয়াজের শেড, আলুর শেড এবং প্রশাসনিক অফিসগুলির ইউনিট হস্তান্তর করার কথা জানানো হয়েছে। দোকান মালিকদের।

তবে এইসব দোকানের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে ২২শে জুন থেকে। ওমানের রাজধানী মাস্কাট আল মাওয়ালেহ মার্কেট থেকে বারকা অঞ্চলে গড়ে উঠা খাজায়েন ইকোনমিক সিটির সিলাল মার্কেটে।

এদিকে মন্ত্রণালয়ের শীর্ষস্থানীয় ট্রেডিং কোম্পানিগুলির একজন নির্বাহী বলেছেন- শুক্রবার রাজধানীর আল মাওলাহ সবজি বাজারে ব্যবসায়িদের বিক্রিয়ের শেষ দিন হবে। ইতিমধ্যেই উক্ত বাজারের ব্যবসায়ী কর্তৃপক্ষ মাঝে সকল প্রকার কার্যক্রম বন্ধ করতে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

আগামী শনিবার এর মধ্যে আল মাওয়েলাহ-এর অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি ব্যবসায়ীদের সকল প্রকার কার্যক্রম পুরোপুরি খাজায়েনে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুছারি স্টোরের ইজারাদাতারা (পাইকারি বাজার বিল্ডিং/কেন্দ্রীয় কোল্ড স্টোরেজ) প্রথম চুক্তি বছরের জন্য ভাড়া মূল্যে অতিরিক্ত হ্রাস পাবে, ভাড়া থেকে বর্ধিত ছাড়ের মেয়াদ সহ, যদি চুক্তিটি ২০মে এর আগে স্বাক্ষরিত হয়।

এ বাজারে বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকেরা ১৯৯৭ সাল থেকে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে।

দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসা বাংলাদেশী নুরুল আবছার বাবলু বলেন- এখানে ৭০% ব্যবসায়ী বাংলাদেশী, ৩০% ব্যবসায়ী অন্যান্য দেশের।
এটি ওমানের প্রাণকেন্দ্র মাস্কাট-এ হওয়াতে, আমাদের জন্য এটি ব্যবসার একটি সুবিধাজনক স্থান ছিলো, এখন আমরা বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হবো।

মোঃ আজম তালুকদার বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছি এই বাজারে, এটি ওমানের রাজধানী মাস্কাট-এ হওয়াতে ব্যবসার জন্য একটি উপযুক্ত স্থান ছিলো।
এখন স্থান পরিবর্তনে আমরা অনেক ক্ষতির সম্মূখীন হবো।

তবে, এখনো পর্যন্ত খুচরা ব্যাবসায়ীদের জন্য কিছু বলা হয়নি।

সেন্ট্রাল মার্কেটের ম্যানেজার হামেদ সাইদ সালেম আল হাজারি এর আগে- স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বার্তায় বলেছেন “বর্তমান সর্বজি বাজারের পরিধি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের কাছে লেবানন, সিরিয়া, জর্ডান, ইরান, মিশর থেকে পণ্য আমদানি রদপানি হচ্ছে। যার কারণে জায়গার পরিধি বৃদ্ধি অতি প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

নতুনভাবে গড়ে উঠা খাজায়েন ইকোনমিক সিটি বিশাল এলাকা নিয়ে গড়া হয়েছে। এতে ব্যবসার বাণিজ্যের পরিধি আরো বৃদ্ধি করা সহজ হবে স্থানান্তরিত। ব্যবসায়ীরা নিজের ব্যবসাও আরো প্রসারিত করতে পারবে।

বাজারের একজন নেতৃস্থানীয় পাইকারী বিক্রেতা, বলেন, “বাজারটি ১৯৮৭ সালে খোলা হয়েছিল কিন্তু ১৯৯৭ সালে পুনরায় খোলার পরপরই বন্ধ হয়ে যায় এবং ২০০০ সালে আবারো পূনরায় চালু করা হয়। প্রাথমে ৯০ শতাংশ পণ্যগুলি প্রতিবেশী দেশগুলির মাধ্যমে আমদানি করা হত, কিন্তু বর্তমানে আমাদের পণ্যগুলির ৯০ শতাংশ সরাসরি বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়, প্রায় ৪০০ রপ্তানি-আমদানিকারক এই মাওয়াহলা বাজারে ব্যবসা করেন।

আরো জানা যায়, হস্তান্তরিত নতুন বাজারে গুজারি দোকান, প্রধান পাইকারি দোকাস, খোলা মাঠ ট্রাক বিক্রয় এলাকা, পেঁয়াজ ও আলু বাছাই ও বিক্রির জন্য ছায়াযুক্ত এলাকা রয়েছে, কৃষি পরিদর্শন এলাকা, অপারেটিং কোম্পানির অফিস, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার থাকবে। চার্জিং স্টেশন, সবজি এবং ফল বাছায়ের আলাদা স্থান, শাক-সবজি এবং ফলের জন্য বেশ কিছু কয়েকটি গেট রয়েছে।

কৃষি মৎস্য ও জলসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে কৃষি নমুনা পরীক্ষার জন্য একটি পরীক্ষাগারও রয়েছে।

এদিকে নতুন বাজারের কিছু নিয়মকানুন ও ভালো সুযোগ-সুবিধা থাকায়, নতুন এই স্থানান্তরিত জায়গায়কে স্বাগত জানিয়েছেন, তবে অনেই মনে করছে রাজধানীই ব্যবসার জন্য উপযুক্ত স্থান ছিলো।

ইতিপূর্বে রাজধানীর মানুষ অল্প শাকসবজি এবং ফল কেনার জন্য রুই থেকে মাওয়াহলা আসলে, বারকা অঞ্চল খাজায়েন মার্কেট পর্যন্ত যাওয়া দূরের যাতায়াত বলে মরে করেন।