প্রবাস বাংলা ডেস্ক: কুয়েতের বিভিন্ন অঞ্চলে জুড়ে অভিযান পরিচালনা করছে কুয়েতের নিরাপত্তা বাহিনী।
জানা যায, ইতিপূর্বে কুয়েত প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল দরশটি, গত ১৭ মার্চ শুরু হওয়া সাধারণ একধপা মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা হয়। যা গতকাল শেষ হয়।
এদিকে কুয়েতে সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে আবাসিক আইন লঙ্ঘনকারীদের গ্রেপ্তার করতে মাঠে নেমেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
কুয়েত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার (১ জুলাই) ভোর থেকে চলছে কুয়েতের বিভিন্ন স্থানে চিরুনি অভিযান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কুয়েতে বিভিন্ন দেশের প্রায় এক লাখ ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী রয়েছে। এমন ব্যাক্তিদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দেওয়া হলেও, এদের মধ্যে সাধারণ ক্ষমার সুযোগ গ্রহণ করেছে মাত্র পয়ত্রিশ হাজার। ৮৫ হাজার এই সুযোগ গ্রহণ করে নাই। যা কুয়েত সরকারের নজরে পড়ে।
দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহদ আল-ইউসেফ জানান- বৈধ হওয়ার সুযোগ দেওয়ার পরে যারা অবৈধ থেকে আইন লঙ্ঘন করেছে, তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান চলমান থাকবে।
প্রথম দ্বারা নির্দেশিত, উদ্দেশ্য হল এমন ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা যারা আবাসিক বিধিগুলি মেনে চলতে ব্যর্থ হয়েছে৷
অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ সালেম আল-নাওয়াফ, এবং এতে একাধিক নিরাপত্তা সেক্টর এবং সহায়ক সংস্থা জড়িত ছিল।
কর্তৃপক্ষ জোর দিয়েছিল যে এই অপারেশনটি আবাসিক আইন কার্যকর করার এবং দেশব্যাপী সম্মতি নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
জানা যায়, অবৈধ ভাবে বসবাস ও বিভিন্ন অপরাধে ওয়ান্টেড আসামী সহ জিলিব,জাহরা ও ফরওয়ানিয়া থেকে একদিনে ৭৫০ জনকে গ্রেফতার করেছে কুয়েতের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।