১১:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

পটুয়াখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত

জাহিদ শিকদার, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল ক্রমেই উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাবালী। এতে উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোন্তাজ নয়ার চর এলাকায় গ্রাম রক্ষা বাঁধ অতিক্রম করে গ্রামের মধ্যে পানি প্রবেশ করেছে। এতে বউ বাজার, নয়ার চর, দক্ষিণ চরমোন্তাজ, উত্তর চরমোন্তাজ, মোল্লাগ্রাম ও চর আণ্ডাসহ ২০ গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, জেলায় ১৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৪ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে দেড় কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগের সময় জরুরি ভাঙন মেরামতের জন্য ১৬ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, চালিতাবুনিয়ায় আগেই বেড়িবাঁধ ভাঙা ছিল। কিন্তু আজ জোয়ারের পানিতে চরমোন্তাজের অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা পানি বন্দিদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।

পটুয়াখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত

আপডেট সময় : ০৫:২২:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

জাহিদ শিকদার, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমাল ক্রমেই উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাবালী। এতে উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোন্তাজ নয়ার চর এলাকায় গ্রাম রক্ষা বাঁধ অতিক্রম করে গ্রামের মধ্যে পানি প্রবেশ করেছে। এতে বউ বাজার, নয়ার চর, দক্ষিণ চরমোন্তাজ, উত্তর চরমোন্তাজ, মোল্লাগ্রাম ও চর আণ্ডাসহ ২০ গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, জেলায় ১৩০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৪ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে দেড় কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগের সময় জরুরি ভাঙন মেরামতের জন্য ১৬ হাজার জিও ব্যাগ প্রস্তুত রয়েছে।

রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজানুর রহমান বলেন, চালিতাবুনিয়ায় আগেই বেড়িবাঁধ ভাঙা ছিল। কিন্তু আজ জোয়ারের পানিতে চরমোন্তাজের অনেক জায়গায় বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা পানি বন্দিদের দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। বর্তমানে পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে।