১১:৪১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

সীতাকুণ্ডে জামাতে নামাজ পড়ে পুরষ্কার পেয়েছেন শতাধিক শিশু- কিশোর

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভা এলাকায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে পুরষ্কার পেয়েছেন শতাধিক শিশু- কিশোর।এর আগে শিশুদের মসজিদমুখী করে তুলতে মসজিদ কমিটি এই পুরস্কার ঘোষণা করে।

১১ জুন মঙ্গলবার পৌরসভার এলাকার দক্ষিণ বাইপাসে অবস্থিত হাসান গোমস্তা মসজিদের ভেতর এশার নামাজ শেষে মুসুল্লিদের সামনে তাদের পুরষ্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানে ১ম স্থান অধিকারী সাইকেল পাওয়া কিশোররা হল-আব্দুল্লা আল নোমান, হাবিবুর রহমান হাসান, হাদিসুর রহমান আয়াত, আলফাজ উদ্দিন, মেজবাহ উদ্দিন লাবীব, মোঃ মেহরাজ, মোঃ নাসিম উদ্দীন, মোঃ শাহাদাত হোসেন, মোঃ শাখাওয়াত, আব্দুল হামিদ, আতিকুল ইসলাম, মোঃ তাওহীদ, আহসাফ আহমেদ ইনান, আবদুল্লাহ আল সাব্বির।

দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ১৩ জন কিশোরদের কম্বল ও গেঞ্জি দেওয়া হয়েছে।তৃতীয় স্থান হিসেবে ৭ জন পেয়েছে জায়নামাজ,স্কুল ব্যাগ, গেঞ্জি এবং চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ৬২ জন একটি করে গেঞ্জি পেয়েছেন।

এই বিষয়ে হাসান গোমস্তা মসজিদ কমিটি বলেন, সমাজের সর্বস্তরে নামাজের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কোমলমতি শিশু কিশোরদের মসজিদ মুখী করতে ও নামাজে উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে পুরষ্কারের ঘোষণা করা হয়েছিল‌।সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এলাকার শিশু কিশোরেরা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে।অবশেষে ঘোষণা অনুযায়ী তাদের পুরষ্কৃত করা হয়েছে।মূলত খারাপ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে ও সচেতনতার উদ্দেশ্য ভবিষ্যত প্রজন্মকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছি।

পুরষ্কার প্রাপ্ত শিশু-কিশোরেরা বলেন, জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে পুরষ্কার পেয়ে খুব ভাল লাগছে।আসলে এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের নামাজের প্রতি উৎসাহিত করেছে।আর আমরা এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।

স্থানীয়রা জানান, মসজিদ কমিটির এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।এলাকায় শিশু কিশোরদের মধ্যে জামাতে নামাজ পড়ার মনোযোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।তাছাড়া ভবিষ্যতে শিশু-কিশোরদের নিয়ে এমন কার্যক্রম চলমান থাকলে সমাজে নামাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিশু-কিশোরদের মাদক ও মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখতে এই ধরনের উদ্যোগ সমাজের জন্য মঙ্গলজনক। তাছাড়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে বিভিন্ন রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।নামাজ ইহকালে উত্তম ও পরকালের মুক্তির পথ হতে পারে।একজন মানুষকে সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তুলতে নামাজের বিকল্প নেই।

এমন মহৎ উদ্যোগের বিষয়ে স্থানীয় যুবক মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।সেই সুবাদে সমাজের তরুণ সমাজকে আলোকিত করতে এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়।এর আগে ডেবার পাড়ে মাত্র ২৩ জনকে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল।এতে শিশু কিশোরদের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করায় আবারো পুরস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়।

পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের মোহাম্মদ ওয়াহেদী, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা সমাজ কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লায়ন মোঃ গিয়াস উদ্দিন, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দিদারুল আলম এ্যাপোলো, সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা নুরুল আমিন, সমাজ সেবক ও হাসান গোমস্তা মসজিদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সালাউদ্দিন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী এডভোকেট সরোয়ার হোসেন লাভলু সহ প্রতিযোগী বৃন্দ ও মুসুল্লীগণ।

সীতাকুণ্ডে জামাতে নামাজ পড়ে পুরষ্কার পেয়েছেন শতাধিক শিশু- কিশোর

আপডেট সময় : ০১:১৩:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুন ২০২৪

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভা এলাকায় টানা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে পুরষ্কার পেয়েছেন শতাধিক শিশু- কিশোর।এর আগে শিশুদের মসজিদমুখী করে তুলতে মসজিদ কমিটি এই পুরস্কার ঘোষণা করে।

১১ জুন মঙ্গলবার পৌরসভার এলাকার দক্ষিণ বাইপাসে অবস্থিত হাসান গোমস্তা মসজিদের ভেতর এশার নামাজ শেষে মুসুল্লিদের সামনে তাদের পুরষ্কৃত করা হয়।

অনুষ্ঠানে ১ম স্থান অধিকারী সাইকেল পাওয়া কিশোররা হল-আব্দুল্লা আল নোমান, হাবিবুর রহমান হাসান, হাদিসুর রহমান আয়াত, আলফাজ উদ্দিন, মেজবাহ উদ্দিন লাবীব, মোঃ মেহরাজ, মোঃ নাসিম উদ্দীন, মোঃ শাহাদাত হোসেন, মোঃ শাখাওয়াত, আব্দুল হামিদ, আতিকুল ইসলাম, মোঃ তাওহীদ, আহসাফ আহমেদ ইনান, আবদুল্লাহ আল সাব্বির।

দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ১৩ জন কিশোরদের কম্বল ও গেঞ্জি দেওয়া হয়েছে।তৃতীয় স্থান হিসেবে ৭ জন পেয়েছে জায়নামাজ,স্কুল ব্যাগ, গেঞ্জি এবং চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে ৬২ জন একটি করে গেঞ্জি পেয়েছেন।

এই বিষয়ে হাসান গোমস্তা মসজিদ কমিটি বলেন, সমাজের সর্বস্তরে নামাজের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কোমলমতি শিশু কিশোরদের মসজিদ মুখী করতে ও নামাজে উদ্বুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে পুরষ্কারের ঘোষণা করা হয়েছিল‌।সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এলাকার শিশু কিশোরেরা ৪১ দিন জামাতে নামাজ পড়ে।অবশেষে ঘোষণা অনুযায়ী তাদের পুরষ্কৃত করা হয়েছে।মূলত খারাপ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে ও সচেতনতার উদ্দেশ্য ভবিষ্যত প্রজন্মকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছি।

পুরষ্কার প্রাপ্ত শিশু-কিশোরেরা বলেন, জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে পুরষ্কার পেয়ে খুব ভাল লাগছে।আসলে এই ধরনের উদ্যোগ আমাদের নামাজের প্রতি উৎসাহিত করেছে।আর আমরা এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।

স্থানীয়রা জানান, মসজিদ কমিটির এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।এলাকায় শিশু কিশোরদের মধ্যে জামাতে নামাজ পড়ার মনোযোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।তাছাড়া ভবিষ্যতে শিশু-কিশোরদের নিয়ে এমন কার্যক্রম চলমান থাকলে সমাজে নামাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শিশু-কিশোরদের মাদক ও মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখতে এই ধরনের উদ্যোগ সমাজের জন্য মঙ্গলজনক। তাছাড়া পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে বিভিন্ন রোগবালাই থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।নামাজ ইহকালে উত্তম ও পরকালের মুক্তির পথ হতে পারে।একজন মানুষকে সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তুলতে নামাজের বিকল্প নেই।

এমন মহৎ উদ্যোগের বিষয়ে স্থানীয় যুবক মোঃ সালাউদ্দিন বলেন, নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।সেই সুবাদে সমাজের তরুণ সমাজকে আলোকিত করতে এমন উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়।এর আগে ডেবার পাড়ে মাত্র ২৩ জনকে নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল।এতে শিশু কিশোরদের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করায় আবারো পুরস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়।

পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের মোহাম্মদ ওয়াহেদী, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা সমাজ কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লায়ন মোঃ গিয়াস উদ্দিন, ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর দিদারুল আলম এ্যাপোলো, সীতাকুণ্ড কামিল মাদ্রাসার আরবী প্রভাষক মাওলানা নুরুল আমিন, সমাজ সেবক ও হাসান গোমস্তা মসজিদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম সালাউদ্দিন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী এডভোকেট সরোয়ার হোসেন লাভলু সহ প্রতিযোগী বৃন্দ ও মুসুল্লীগণ।