
পিবিএন ডেস্ক : ওমানের রাজধানী মাস্কাট–এ অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, মাস্কাট–এর উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস–২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে।
দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয় দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত রিয়ার এডমিরাল খন্দকার মেজবাউল আজিম। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা–কর্মচারী, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত থেকে দেশাত্মবোধক আবহে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
পতাকা উত্তোলন শেষে দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত সবাই এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

এরপর দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর ও চ্যান্সেরি প্রধান মিসেস মাহমুদা খানম। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেবার কাউন্সিলর রাফিউল ইসলাম, প্রথম সচিব আসাদুল হক এবং পাসপোর্ট ও ভিসা কাউন্সিলর মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।

আলোচনায় বক্তারা মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতা অর্জনের তাৎপর্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণ করে তাঁদের অবদান ও ত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে উল্লেখ করা হয়। বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধারণ করেই একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়, যেখানে বিজয় দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, জাতীয় ঐক্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্কুলের প্রতিনিধিবৃন্দ, বিমান বাংলাদেশের কর্মকর্তারা, ওমান প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। আলোচনা সভা শেষে বিজয় দিবস উপলক্ষে দেশাত্মবোধক পরিবেশে সৌহার্দ্যপূর্ণ মিলনমেলায় অংশগ্রহণ করেন অতিথিরা।
সমগ্র আয়োজনটি প্রবাসে থেকেও মহান বিজয় দিবসের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে দেশপ্রেম ও ঐক্য আরও সুদৃঢ় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।














