
রিপোর্ট ডেইলি মাস্কাট: বাংলাদেশ ও ওমানের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী ২০২৫ সালে উদযাপিত হচ্ছে। শান্তি, সৌহার্দ্য, পারস্পরিক সম্মান ও অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে থাকা দুই দেশের সম্পর্ক পাঁচ দশকে পৌঁছেছে নতুন উচ্চতায়। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, শ্রমবাজার, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিস্তৃতি এখন এই সম্পর্ককে বহুমাত্রিক অংশীদারত্বে রূপ দিয়েছে।
এ উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ওমানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত রিয়ার অ্যাডমিরাল খন্দকার মিসবাহ উল আজিম বলেন “ওমানের উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তারা দুই দেশের মাঝে জীবন্ত এক সেতুবন্ধন।”
রাষ্ট্রদূতের অঙ্গীকার: নতুন যাত্রার সূচনা
রাষ্ট্রদূত জানান, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে বছরজুড়ে একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস। তিনি ৯ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে সুলতান হাইথাম বিন তারিক-এর কাছে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি ওমান সরকার, ব্যবসায়ী মহল ও গণমাধ্যমের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ বাড়িয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।
রাষ্ট্রদূত ওমানের সরকার ও জনগণের প্রতি প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আন্তরিক সহায়তা ও সদয় আচরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবায় নতুন উদ্যোগ
দূতাবাস প্রবাসীদের সুবিধা নিশ্চিত করতে যে সেবাগুলো চালু বা সম্প্রসারণ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে-ডিজিটাল কিউ সিস্টেম, পাসপোর্ট এনরোলমেন্টে ঝামেলামুক্ত ও দ্রুত সেবা, ওমান পোস্টের মাধ্যমে পাসপোর্ট হোম ডেলিভারি, প্রথমবারের মতো ওমান দূতাবাসে (NID) এনআইডি কার্ড সেবা, ওমানে বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটির শিক্ষা প্রোগ্রাম — SSC, HSC, BA, BSS চালু, শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে আইনি সহায়তা দিতে এডভোকেট নিয়োগ, মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশিদের মরদেহ পাঠানোতে দূতাবাসের বিশেষ সমন্বয়।
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, প্রবাসীবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।”
ওমানের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে
মান্যবর রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব গ্রহণের পর রাষ্ট্রদূত ওমানের একাধিক মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়িক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনায় কূটনীতি, প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি ও পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে কথা হয়। কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা মওকুফ, দুই দেশের ডিপ্লোমেটিক ট্রেনিং একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক (MoU)
রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতে সহযোগিতার সম্ভাবনাময় নতুন খাতগুলোর কথাও তুলে বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, তথ্যপ্রযুক্তি (ICT), নীল অর্থনীতি, এসএমই উন্নয়ন। ওমান ভিশন ২০৪০ এবং বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যৌথ প্রচেষ্টা আমাদের কৌশলগত অংশীদারত্ব আরও শক্তিশালী করবে।”
বাংলাদেশ ও ওমানের সম্পর্কের কেন্দ্রে রয়েছে দুই দেশের মানুষ। রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন যে এই বন্ধুত্ব আগামী দিনে আরও গভীর হবে এবং শান্তি, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে দুই দেশ একসঙ্গে এগিয়ে যাবে।
রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, ওমানের স্থানীয় গণমাধ্যম ডেইলি মাস্কাট
















