প্রবাস বাংলা
রবিবার , ২২ জুন ২০২৫ | ৭ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আর্ন্তজাতিক
  3. কবিতা-ছড়া
  4. খেলাধুলা
  5. গল্পসমূহ
  6. চাকরির খবর
  7. জাতীয়
  8. দূতাবাস
  9. ধর্ম
  10. প্রথম পাতা
  11. প্রবাস জীবন
  12. প্রবাস নিউজ
  13. প্রযুক্তি
  14. বিশ্ব
  15. ব্যবসা

আমার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা কর যাচ্ছি: আবিদা ইসলাম

প্রতিবেদক
প্রবাস বাংলা
জুন ২২, ২০২৫ ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ

নিউজ ডেস্ক: লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সফল আয়োজিত অনুষ্ঠানে, যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ হাইমিশনের কাছে কমিউনিটির মানুষের আশা-প্রত্যাশা এবং চাওয়া-পাওয়া অনেক বেশী । একজন প্রবাসী হিসেবে নিজের দেশের প্রতিনিধি বা সে দেশের দ্বায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের কাছে এমন চাওয়া স্বাভাবিক একটি বিষয় এবং এটি মৌলিক অধিকারেরই একটি অংশ। আমি পরিবর্তিত পরিস্থিতে দ্বায়িত্ব গ্রহণের পর আমার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার চেষ্টা কর যাচ্ছি। কমিউনিটির অনেক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে বৈঠক হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। আমি সবার সাথে কথা বলে চেষ্টা করেছি সমস্যা গুলো চিহ্নিত করতে। এর সমাধানে যথাযথ পথ খুঁজে বের করাও আমার দায়িত্ব।

হাইকমিশনার লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে লন্ডন এন্টারপ্রাইজ একাডেমিতে ‘কমিউনিটি কুয়েশ্চন টাইম উইথ হাইকমিশনার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকসহ কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। এতে রেওয়াজ অনুযায়ী ক্লাব প্রেসিডেন্ট ও হাইকমিশনারের প্রারম্ভিক রক্তব‍্য ছাড়া কোনো গতানুগতিক বক্তব্যের সুযোগ ছিলোনা।

প্রেস ক্লাব সভাপতি মুহাম্মদ জুবায়ের বলেন, আমরা এই আয়োজনের মাধ্যমে সব কিছুর জবাব বা সমাধান পাবো তেমনটি আশা করি না। আমরা চাই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো বার বার আলোচনায় আসুক। যথার্থ ও সম্মানের সাথে
প্রশ্ন করা বা জবাবদিহিতার কালচার অব্যাহত থাকুক। আর সাহস নিয়ে এমন কঠিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ায় আমরা হাইকমিশনারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

জেনারেল সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদ বলেন,
প্রেস ক্লাব আগেও বাংলাদেশের হাইকমিশনার, ঢাকার বৃটিশ হাইকমিশনার, মন্ত্রী, প্রথম বাংলাদেশি এমপি এবং প্রথম নির্বাহী মেয়রকে নিয়েও সমান আয়োজন করেছে।

নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রশ্ন বা মতামত রাখেন, ইউকেবিসিসিআই’র চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ ওবিই, বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডিজি সলিসিটর দেওয়ান মাহদী, ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ওলি খান এমবিই, ব্রিটিশ বাংলাদেশী ক্যাটারার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট তোফাজ্জুল মিয়া, সোসাইটি অব বৃটিশ বাংলাদেশী সলিসিটর্স এর প্রেসিডেন্ট সলিসিটর নুরুল গাফফার, বাংলাদেশ সেন্টার লন্ডনের সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসাইন ও একাউন্টেনট ক্লাব ইউকে’র প্রতিনিধি এ মুহিত। নেতৃবৃন্দ কমিউনিটির বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন। ক্লাব সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক চৌধুরী ও টেজারার সালেহ আহমদ সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।

সাংবাদিকরা হাইকমিশনের সেবার মান, ওয়েব সাইটের দুর্বলতা, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, নো ভিসা ফি ও দেশী ভেজেটেবুল আমদানিতে সমস‍্যাসহ কমিউনিটির বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন রাখেন। বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালিন সরকারের প্রধান উপেদাষ্টার সাম্প্রতিক লন্ডন সফর সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়েও প্রশ্ন আসে। হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম মনোযোগসহ প্রশ্নগুলো শুনেন এবং উত্তর দেন।কিছু জটিল ও কঠিন প্রশ্নেরও মুখোমুখি হতে হয় তাকে।

আবিদা ইসলাম বলেন, প্রবাসীরা সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা, প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়ন, প্রবাসীদের জায়গা-জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আইনি জটিলতা দূরীকরণে প্রবাসী ট্রাইব্যুনাল স্থাপন,বার্মিংহামের স্মল হিথ পার্কে বহিবিশ্বে প্রথম পতাকা জাতীয় পতাকা উওোলনের দিনকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি,
দেশীয় সবজি আমদানিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আমার সাথে আলোচনা করেছেন । আমি সরকারের কাছে আপনাদের সেই সব দাবি যথাযথ ভাবে পৌঁছে দিয়েছি এবং দেবো।

সর্বশেষ - জাতীয়