
নিউজ ডেস্ক : লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস তিউনিসিয়ায় বাংলাদেশের অনাবাসিক দূতাবাস হিসেবে সেদেশে অবস্থানরত অভিবাসীদের সার্বিক কল্যাণ ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দূতাবাসের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আইনি সহায়তায় দীর্ঘ এক বছরের বেশি আইনি লড়াই শেষে তিউনিসিয়ার আপিল বিভাগ জানদুবা জেলে আটক চারজন বাংলাদেশিকে মুক্তি প্রদান করেছে। দূতাবাস তাদের আটক হওয়ার পর থেকেই আইনি সহায়তা প্রদান করে আসছিল।
তিউনিসিয়ার জানদুবা শহরের নিম্ন আদালতের প্রায় প্রতিটি শুনানিতে দূতাবাসের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন এবং প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেন। আটককালীন সময়ে দূতাবাস তাদের জন্য পোশাক ও একান্ত জরুরি সামগ্রী সরবরাহ করে। এছাড়া, তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠক করে তাদের মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও চালানো হয়।
প্রথমত নিম্ন আদালত তাদের খালাস দিলেও স্থানীয় প্রসিকিউশন রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে। এর প্রেক্ষিতে দূতাবাসের প্রতিনিধি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে আপিল বিভাগের পাঁচজন বিচারপতির বেঞ্চের শুনানিতে উপস্থিত হয়ে সর্বাত্মক আইনগত সহায়তা প্রদান করে এবং তাদেরকে মানবপাচারের ভুক্তভোগী হিসেবে প্রমাণের জন্য জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করে। পাশাপাশি আপিল বিভাগে তাদের পক্ষে সরকারি উকিল নিয়োগের আবেদনও জানানো হয়।
অবশেষে ১১ মার্চ ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে আপিল বিভাগ তাদের মুক্তির রায় প্রদান করে। মুক্তিপ্রাপ্ত চারজন বাংলাদেশিকে ইতোমধ্যে দূতাবাস গ্রহণ করেছে এবং আউটপাসসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইস্যু করে আইওএম তিউনিসিয়ার শেল্টারে রাখার ব্যবস্থা করেছে। আশা করা যাচ্ছে আসন্ন ঈদের আগেই তারা বাংলাদেশে ফিরে যেতে পারবেন। মুক্তিপ্রাপ্ত চারজন বাংলাদেশি নাগরিক হলো নড়াইলের আকছেদ তানদের, নারায়ণগঞ্জের খোকন মিয়া, হবিগঞ্জের আবজাল হোসেন এবং বরিশালের মোস্তাকিম কাজী।
এদিকে আরেকটি মামলায় আরও দুইজন বাংলাদেশি নাগরিক জানদুবা শহরের নিম্ন আদালতে বিচারাধীন রয়েছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের মুক্তির জন্যও যথাযথ আইনি সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।












