
পিবিএন ডেস্ক : ওমানস্থ সালালা সোশ্যাল ক্লাবের নতুন কমিটি গঠনকল্পে সৃষ্ট জটিলতা নিরাসনে সোশ্যাল ক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটির সালালা সফর।
বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব সালালা শাখার নির্বাচন পরবর্তী কমিটি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সদস্যবৃন্দ অফিসিয়ালি সফরে সালালা সোশ্যাল ক্লাব পরিদর্শন করেন।
সোশ্যাল ক্লাবের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের নেতৃত্বে সালালা সোশ্যাল ক্লাবের অফিসে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এবং সোশ্যাল ক্লাবের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের মাঝে বিপক্ষীয় মিটিং সম্পন্ন হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন
ক্লাবের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক। সভা পরিচালনা করেন সাবেক শাখা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং নবনির্বাচিত কমিটির সদস্য ডাক্তার আসিফ হারুন। এ সময় বক্তব্য রাখেন ক্লাবের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এম এন আমিন,ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, আবুল কালাম মজুমদার ডাক্তার আসিফ হারুন এবং মতামত প্রদান করেন উপস্থিত নির্বাচিত সকল সদস্যবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় কর্মকর্তারা।
সভার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান সিরাজুল হক তার বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের গাইড লাইন এবং ক্লাবের গঠনতন্ত্রের আলোকে নতুন কমিটি গঠন করার পরামর্শ দেন। সকলের মতামতের ভিত্তিতে যে কমিটি জমা দেওয়া হয়েছে সেই কমিটি বহাল থাকবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ইন্সট্রাকশন এবং ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচিত ১২ জন সদস্যদের মাঝে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠ তাদের মতামত প্রাধান্য পাবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে । এটাই নিয়ম এবং এই নিয়মের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ক্রীড়া সম্পাদক সিরাজুল হক, প্রচার সম্পাদক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, যোগাযোগ সম্পাদক শাহজাহান ভুইঞা, সাপোর্টিং ইসি মেম্বার মানিক ও তহিদ এবং ম্যানেজার মোক্তার।
এর আগে সালালা সোশ্যাল ক্লাবের সৌজন্যে স্থানীয় একটি খ্যাতিমান রেস্টুরেন্টে দিনারের আয়োজন করা হয়। এই দিনার পার্টিতে মাস্কাটের অতিথি ছাড়াও সালালার সকল অ্যাঙ্গেলের নেতৃবৃন্দ এবং সালালা বাংলাদেশ কমিউটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই দিনার পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন।
পরের দিন দিনার পার্টির আয়োজন করেন সালালা সোশ্যাল ক্লাবের সিনিয়র কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার শাহ আলী। সালালার সেরা একটি রেস্টুরেন্ট লুবান পার্কে
এই দিনার পার্টির আয়োজন করা হয়। দৃষ্টিনন্দন চোখ জুড়ানো এই রেস্টুরেন্ট প্রতিষ্ঠা করেন সালালার কয়েকজন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার। এই রেস্টুরেন্টের বৈশিষ্ট্য হলো আপনার মনে হবে একটি বৃক্ষের নিচে আপনি বসে আছেন। সম্পূর্ণ নতুনত্ব এই রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন দেখলে মনে হবে বাংলাদেশিরা কতটুকু মানসিকভাবে ডেভেলপ হয়েছে। স্থানীয় ওমানিরাও এই বাংলাদেশী রেস্টুরেন্টের অনেক প্রশংসা করতে শোনা যায়। যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
পরের দিন দিনার পার্টির আয়োজন করে সোশ্যাল ক্লাব সালালা ব্রাঞ্চের সাবেক সহ সভাপতি সিনিয়র ব্যক্তিত্ব আবুল কালাম মজুমদার। বারবিকিউ নাইন রেস্টুরেন্টে এই দিনার পার্টিতে মাসকটের অতিথি সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এর পরের দিন দুপুরে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে সালালা সোশ্যাল ক্লাবের সিনিয়র কর্মকর্তা সিরাজ সাহেব। উপস্থিত ছিলেন সালালা কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং এই ভোজের মাধ্যমে সবাই আমাদেরকে বিদায় জানান। ভোলার এই সিরাজ সাহেবের ২৩ টির বেশি বড় ধরনের রেস্টুরেন্ট ছাড়াও আছে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সিরাজ ভাইয়ের মতো সালালায় অনেক বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী আছে যাদের রেমিটেন্সে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো সমৃদ্ধ হচ্ছে।
সালালাবাসীর আন্তরিকতা এবং আতিথ্য অবশ্যই ভুলবার মত নয়। আরো অনেকের দাওয়াত সময়ের অভাবে গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি বলে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আশা করি পরবর্তীতে সময় নিয়ে আবারো সালালা ভ্রমণে যাওয়া হবে । যারা শ্রম ও সময় দিয়ে আমাদের ভ্রমন আরো আনন্দময় করেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।













