
ওমান, মাস্কাট: রয়্যাল ওমান পুলিশ (ROP)-এর অপরাধ তদন্ত মহাপরিদেশালয় জানিয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে সুলতানাতে সাইবার জালিয়াতির ঘটনা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ব্রিগেডিয়ার জামাল হাবিব আল কুরাইশি, মহাপরিচালক (অপরাধ তদন্ত ও অনুসন্ধান), ওমান নিউজ এজেন্সিকে জানান, প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যাপক ব্যবহার একদিকে মানুষের জীবন সহজ করছে, অন্যদিকে প্রতারকরা আধুনিক প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ও ডিপফেক পদ্ধতি ব্যবহার করে নতুন নতুন প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে।
তিনি বলেন, ভুয়া বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন, ভাড়া বা রিক্রুটমেন্ট সার্ভিসের নামে প্রলোভন দেখানো এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিচয় ভুয়া ভিডিওতে ব্যবহার করা সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত প্রতারণার কৌশল। এসব বিজ্ঞাপনে সাধারণত বাজারদরের চেয়ে কম দামে পণ্য বা সেবা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়, এরপর প্রতারকরা পুরোপুরি গায়েব হয়ে যায়।
এছাড়া সরকারি ওয়েবসাইটের মতো দেখতে ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে সেগুলো সার্চ ইঞ্জিনে উপরে দেখানোর মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের ব্যক্তিগত ও ব্যাংকিং তথ্য সংগ্রহ করে অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এই অর্থ দ্রুত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা হয়।
ROP জানিয়েছে, তারা ভুয়া ওয়েবসাইট শনাক্ত করে দ্রুত বন্ধ করে দিচ্ছে এবং টেলিকম ও ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতারণায় ব্যবহৃত অ্যাকাউন্ট ও নাম্বার ব্লক করছে। পাশাপাশি, নাগরিক ও প্রবাসীদের সচেতন করতে স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
ব্রিগেডিয়ার আল কুরাইশি জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অচেনা উৎস থেকে আসা কল বা বিজ্ঞাপনে সাড়া দেবেন না, ব্যাংক বা ব্যক্তিগত তথ্য কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না, এবং অনলাইনে কেনাকাটার জন্য মূল ব্যাংক কার্ড ব্যবহার না করে সীমিত অর্থের আলাদা কার্ড ব্যবহার করবেন।
তিনি আরও জানান, যদি কেউ প্রতারণার শিকার হন, তবে অবিলম্বে ব্যাংকে যোগাযোগ করে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে হবে, নিকটস্থ থানায় রিপোর্ট করতে হবে অথবা হেল্পলাইন (৮০০৭৭৪৪৪)-এ যোগাযোগ করতে হবে।
–














