
পিবিএন ডেস্ক: গ্র্যান্ড রিসেপশন অনুষ্ঠিত — বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও ভবিষ্যৎ অংশীদারিত্বের নতুন দিগন্ত
বাংলাদেশ ও ওমানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মাস্কাটে এক বর্ণাঢ্য গ্র্যান্ড রিসেপশন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আজ পঞ্চাশ বছরে পদার্পণ করল।
এই ঐতিহাসিক উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ওমান সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কূটনৈতিক কর্পসের সদস্য, ব্যবসায়ী সমাজের প্রতিনিধি, প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহামান্য শেখ খালিফা আল হারথি।
শুরুতে আগত অথিতিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে, স্বাগত জানান ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত রিয়ার এডমিরাল খোন্দকার মিসবাহ-উল-আজিম, এনপিপি ও তার সহধর্মিণী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের পর এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়। এছাড়া একটি চিত্র ও ভিডিও প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, পর্যটন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন: “বাংলাদেশ ও ওমানের সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা, সম্মান ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। এই সম্পর্ক গত পাঁচ দশক ধরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে আরও দৃঢ় হয়েছে। আগামী দিনে আমরা এই বন্ধুত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।
তিনি আরও বলেন, উভয় দেশের নেতৃত্ব জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে একে অপরের পাশে থেকেছে। বিশেষ করে শ্রম, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, জ্বালানি, কৃষি ও সংস্কৃতি খাতে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ওমানে কর্মরত প্রায় আট লক্ষ বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীর অবদান গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশি প্রবাসীরা দুই দেশের বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছেন। তাঁদের কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠা ওমানের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শেখ খালিফা আল হারথি তাঁর বক্তব্যে বলেন
“বাংলাদেশ ও ওমানের সম্পর্ক সত্যিকার অর্থে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতামূলক। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও গভীর ও কার্যকর হবে। ওমান বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন সুযোগ অন্বেষণে আগ্রহী।”
তিনি বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দক্ষ মানবসম্পদ ও শিল্পোন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং বলেন, দুই দেশ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করে যৌথভাবে উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে পারে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল সুবর্ণজয়ন্তী কেক কাটা পর্ব যা দুই দেশের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে উদযাপিত হয়।
আগত অথিতিদের সামনে বাংলাদেশ মাস্কাট স্কুল শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পর্বটি মনোমুগ্ধকর ছিল
সাংস্কৃতিক পর্ব, যেখানে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংগীত ও নৃত্য পরিবেশিত হয়।
বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের উইংস্ এর স্টল প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, পর্যটন ও অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।
যা আগত অথিতিরা ঘুরে দেখেন
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মহোদয় ওমানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিফা আল হারথির কাছ থেকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করছেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব আসাদুল হক।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মহোদয় ওমানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিফা আল হারথির কাছ থেকে শুভেচ্ছা গ্রহণ করছেন।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তিতে অতিথিদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আড্ডা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়।














